Thursday, January 6, 2011

রাসুলুল্লাহর (সাঃ) সালাত ও কিছু সন্দেহের নিরসন

রাসুলুল্লার (সাঃ) সালাত কিছু সন্দেহের নিরসন
সংকলনেঃ আব্দুল্লাহ আবু আনাস
 
নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা আল্লাহর প্রাপ্য। অসংখ্য সালাম বর্ষিত হোক রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর উপর। নিম্নে সালাতের (নামাজের) কতিপ সুন্নত এর আলোচনা করা হলোঃ

সালাতে রাসুল (সাঃ) এর সুন্নত 

রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখো, সেভাবে সালাত আদায় করো।"
-         বুখারী, আযান অধ্যায় ১/৮৮; মুসনাদে আহমদ মিশকাত ৬৮৩।
 
তিনি বলেন, "বান্দাহ সালাত পড়ে। কিন্তু সেই সালাতের সয়াব লেখা হয় দশ ভাগের একভাগ, নয় ভাগের একভাগ, আট ভাগের একভাগ, ছয় ভাগের একভাগ, পাঁচ ভাগের একভাগ, চার ভাগের একভাগ, তিন ভাগের একভাগ, দুই ভাগের একভাগ।"     
- আবু দাউদ নাসাই।

এখন দেখা যাক, সালাতে আমাদের দেশে যেসব সুন্নত অবহেলিত হয় সেগুলি কি কি? যেগুলি জ্ঞানের অভাবে অথবা জেদের বশবর্ত্তী হয়ে পালন করা হয় না। সংক্ষিপ্ত ভাবে শুধু অতি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতগুলি নীচে আলোচিত হলোঃ

[১] বুকের উপরে হাত বাঁধা   

"তিনি কোমরের উপর হাত রেখে সালাত পড়তে নিষেধ করেছেন।" - বুখারী, মুসলিম।

সাহ্‌ল বিন সাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, "লোকদেরকে নির্দেশ দেয়া হতো যেন তারা সালাতের সময় ডান হাত বাম হাতের উপর রাখে।" - বুখারী ১/১০২ পৃঃ (উল্লেখ্য উক্ত হাদিসের 'যেরা' শব্দের অর্থ 'কনুই হতে  মধ্যমা আংগুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত দীর্ঘ হাত' - আল মুজামুল য়াসীত্ব)।   

ছাহাবী হুল্‌ব আত্‌-ত্বাঈ (রাঃ) বলেন, "আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)- কে বাম হাতের জোড়ের (কব্জির) উপর ডান হাতের জোড় বুকের উপর রাখতে দেখেছি।" - মুসনাদে আহমদ; তিরমিযী হাদিসঃ ২৫; তুহ্‌ফাতুল আহয়াযী ১/৯০; ফিকহুস সুন্নাহ ১/১০৯ পৃঃ।     

য়ায়েল বিন হুজ্‌র (রাঃ) বলেন, " আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সাথে নামাজ আদায় করলাম। এমতাবস্থায় দেখলাম যে, তিনি (রাসুল সাঃ) বাম হাতের উপর ডান হাত স্বীয় বুকের উপরে রাখলেন।"
- সহীহ ইবনু খুযায়মা হাদিসঃ ৪৭৯।  

উপরোক্ত হাদিসে 'বুকের উপরে হাত বাঁধা' সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য এসেছে। ইমাম শাকানী বলেন, "হাত বাঁধা বিষয়ে সহীহ ইবনু খুযায়মাতে য়ায়েল বিন হুজ্‌র (রাঃ) বর্ণিত হাদিসের চাইতে বিশুদ্ধতম হাদিস আর নেই।"- নায়লুল আত্বার ৩/২৫।

উল্লেখ্য যে, 'নাভীর নীচে হাত বাঁধা' সম্পর্কে মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে যে চারটি হাদিস দুটি আছার বর্ণিত হয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে মুহাদ্দিসদের  বক্তব্য হলো, '(যয়ীফ হয়ার কারণে) এগুলির একটি হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহনযোগ্য নয়'                      - মির'আতুল মাফাতীহ ১/৫৫৭-৫৫৮; তুহ্‌ফাতুল আহযায়ী ২/৮৯।

[২] সশব্দে 'আমিন' বলা।   

য়ায়েল বিন হুজ্‌র (রাঃ) বলেন, " আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে 'গায়রিল মাগদুবি ......' বলার পর তাঁকে উচ্চঃস্বরে আমিন বলতে শুনলাম।" আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা পায়া যায়। - দারাকুৎনী হাদিস নং ১২৫৩-৫৫,৫৭,৫৯; আবু দাউদ; তিরমিযী; দারেমী; মিশকাত হাদিসঃ ৮৪৫।    

ইমাম যুহুরী (রহঃ) বলেন, "রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজে সশব্দে 'আমিন' বলতেন। তাঁর সাথে মুত্তকীদের 'আমিন' এর আয়াজে মসজিদ গুঞ্জরিত হ'য়ে ঊঠতো।" - বুখারী ১/১০৭; ফৎহুল বারী ৭৮০-৭৮১; মুসলিম ৪১০, ১/৩০৭।

"যদি কোন ইমাম "আমিন" না বলেন, কিংবা নীরবে বলেন, তবু মুত্তাকী সশব্দে 'আমিন' বলবেন।" - সহীহ ইবনু খুযায়মা হাদিসঃ ৫৭৫, অনুচ্ছেদঃ ১৩৯।

সশব্দে "আমিন" শুনে কার রাগ করা উচিত নয়। কেননা আয়েশা (রাঃ) হ'তে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ)  বলেছেন,           "ইহুদীরা তোমাদেরকে সবচেয়ে বেশী হিংসা করে তোমাদের 'সালাম" 'আমিন' এর কারণে।"  - আহমদ; ইবনে মাজা হাদিসঃ ৮৫৬; সহীহ ইবনু খুযায়মা হাদিসঃ ৫৭৪;  আত-তারগীব   হাদিসঃ ৫১২; রযাতুন নাদিইয়াহ ১/২৭১; তাবরানী; নায়লুল আত্বার ৩/৭৪।

[৩] রা'ফে ইয়াদায়েন করা  (দুই হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠানো) 

রা'ফে ইয়াদায়েন করতে হয় চারটি সময়ঃ  (ক) তাকবীরে তাহরিমার সময় (খ) রুকুতে যায়ার সময় (গ) রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াবার সময় এবং (ঘ) ৩য় রাকা'আতে দাঁড়িয়ে বুকে হাত বাঁধার সময়।

ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, "কোন সাহাবী রা'ফে ইয়াদায়েনের তরক্‌ করেছেন বলে প্রমাণিত হয়নি।" তিনি আর বলেন, "রা'ফে ইয়াদায়েন এর হাদীস সমূহের সনদের চেয়ে বিশুদ্ধতম সনদ আর নেই।" - ফাৎহুল বারী ২/২৫৭।

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, "রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সালাতের শুরুতে, রুকুতে যায়ার সময় রুকু থেকে উঠার সময় ...... এবং তৃতীয় রাকা'আতে দাঁড়ানোর সময়ে রা'ফে ইয়াদায়েন করতেন...।" - মুত্তাফাকুন আলাইহে; মিশকাত হাদিস নং ৭৯৪।  

হাদিসটি বায়হাক্বীতে বর্ধিতভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, "এইভাবেই তাঁর সালাত জারি ছিল, যতদিন না তিনি আল্লাহর সাথে মিলিত হন।" অর্থাৎ আমৃত্যু তিনি রা'ফে ইয়াদায়েন আদায় করেছেন।

ইমাম বুখারীর (রহঃ) স্তাদ আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, "এই হাদিস আমার নিকট সমস্ত উম্মতের উপরে 'হুজ্জাত' বা দলিল স্বরূপ। যে ব্যক্তি এটা শুনবে, তার উপরেই এটা আমল করা কর্তব্য হবে।" হাসান বছরী হামীদ বিন হেলাল বলেন, "সকল সাহাবী উক্ত রা'ফে ইয়াদায়েন করতেন।"  

মালিক বিন হুয়াইরিছ (রাঃ) বলেন, " রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সালাতের জন্য 'তাকবিরে তাহরিমা' দিতেন, তখন হাত দু'টি স্বীয় কান পর্যন্ত উঠাতেন। একইভাবে তিনি রুকুতে যায়ার সময় রুকু থেকে উঠার সময় অনুরূপ করতেন এবং 'সামি আল্লাহু লিমান হামিদা' বলতেন।" - মুসলিম হাদিস নং ৩৯১, ১/২৯৩।  

উল্লেখ্য যে, অনেক হাদিসের বিপরীতে তাকবিরে তাহরিমা ব্যতিত বাকী সময়ে রা'ফে ইয়াদায়েন না করার পক্ষে যে চারটি হাদিস পেশ করা হয়ে থাকে, তার সবগুলিই "যঈফ"। তন্মধ্যে হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাস'উদ (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি সর্বাধিক প্রসিদ্ধ। যেমনঃ আলক্বামা বলেন যে, একদা ইবনে মাস'উদ (রাঃ) আমাদেরকে বলেন, "আমি কি তোমাদের নিকটে রাসুল (সাঃ) সালাত আদায় করবো ? এই বলে তিনি সালাত আদায় করেন। কিন্তু তাকবিরে তাহরিমা সময় একবার ব্যতিত অন্য সময় আর রা'ফে ইয়াদায়েন করেন নি।" তিরমিযী; আবু দাউদ; নাসাঈ; মিশকাত হাদিস নং ৮০৯।

উক্ত হাদিস সম্পর্কে ইবনে হিব্বান বলেন, "রা'ফে ইয়াদায়েন না করার পক্ষে কূফাবাসীদের এটিই সবচেয়ে বড় দলিল হলে এটিই সবচেয়ে দূর্বলতম দলিল।"
- নায়লুল আত্বার ৩/১৪; ফিকহুস্‌ সুন্নাহ ১/১০৮।  

শাহ য়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী (রহঃ) বলেন, "যে মুসল্লী রা'ফে ইয়াদায়েন করে - ঐ মুসল্লী আমার নিকট অধিক প্রিয়; ঐ মুসল্লীর চাইতে যে রা'ফে ইয়াদায়েন করে না। কেননা রা'ফে ইয়াদায়েন এর হাদিস সংখায় বেশী অধিকতর মজবুত।"
- হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ ২/১০।  

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, " রা'ফে ইয়াদায়েন হলো সালাতের সৌন্দর্য। রুকুতে যায়ার সময় রুকু থেকে উঠার সময় কেউ রা'ফে ইয়াদায়েন না করলে তিনি তাকে ছোট পাথর ছুঁড়ে মারতেন।" - নায়লুল আত্বার ৩/১২।  

উক্ববাহ্‌ বিন আমের (রাঃ) বলেন, "প্রত্যেক রা'ফে ইয়াদায়েন-এ ১০টি করে নেকী আছে।" - নায়লুল আত্বার ৩/১২।

[৪] জলসায়ে ইস্তেরায়াত  (১ম ৩য় রাক্‌য়াতে সেজদা থেকে দাঁড়ানোর সময় সামান্য সময় বসা)

"সালাতের মধ্যে যখন রাসুল (সাঃ) বেজোড় রাক'আতগুলিতে পৌঁছতেন, তখন সোজা দাঁড়াতেন না, যতক্ষণ না সুস্থির হয়ে বসতেন।" - বুখারী; মিশকাত হাদিস নং ৭৯৬; নায়লুল আত্বার ৩/১৩৮।  

একই রাবীর অন্য বর্ণনায় এসেছে, "রাসুল (সাঃ) দ্বিতীয় সিজদা থেকে মাথা উঠাতেন, তখন বসতেন এবং মাটির উপরে (দু'হাত) ভর দিতেন। অতঃপর দাঁড়াতেন।" -বুখারী ফাৎহ্‌ সহ হাদিসঃ ৮২৪ হাদিসঃ ২/৩৫৩-৩৫৪।  

"হাতের উপরে ভর না দিয়ে তীরের মত সোজা দাঁড়ায়ে যেতেন" বলে ত্বাবরানী কাবীরে বর্ণিত হাদিসটি 'যু' বা জাল এবং উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদিস 'যঈফ'।          - সিলসিলা যাইফাহ্‌ হাদিসঃ ৫৬২, ৯২৯, ৯৬৮; নায়লুল আত্বার ৩/১৩৮-১৩৯

[৫] শাহাদাত আঙ্গুলি দ্বারা ইশারা 

"এবং ডান হাতের আঙ্গুলিগুলি ৫৩-এর ন্যায় মুষ্টিবদ্ধ থাকবে শাহাদাত আঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করবে।"- মুসলিম, মিশকাত হাঃ ৯০৬।

"সালাম ফিরানোর আগ পর্যন্ত ইশারা করতে থাকবে।"    - মুসলিম; মিশকাত হাঃ ৯০৭-৯০৮; আবু দাউদ; নাসাঈ; দারেমী; মিশকাত হাঃ ৯১১-৯১২।   

[৬] অন্যান্যঃ 
রাসুল (সাঃ) এর সালাতের আর বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ
(১) রাসুলুল্লাহর নামাজ - মূলঃ মুহাম্মদ নাসিরুদ্দিন আলবানী; অনুবাদঃ আব্দুস শহীদ নাসিম।
          (২) চার মাযহাবের ইমামগণের ঐক্যমত অনুসারে রাসুল (সাঃ) এর সালাত; সম্পাদনাঃ আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম।

সালাতের সুন্নত সমূহ নিয়ে সংশয় (সন্দেহ) এর নিরসনঃ-

আমাদের দেশে কতিপয় লোক, রাসুল (সাঃ) এর সুন্নত অনুসরণ করে সালাত আদায় করার বিরোধিতা করেন। ফলে সালাতের সুন্নত আদায় করার বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। তাদের জানা উচিত আল্লাহ সুবহানহুয়াতা'লা বলেন,  

"হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং আনুগত্য করো রাসুলের এবং তোমাদের দায়িত্বশীলদের। আর কোন ব্যাপারে মতবিরোধ হলে তা আল্লাহ রাসুলের দিকে ফিরিয়ে দা। যদি তোমরা
আল্লাহ বিচার দিবসে বিশ্বাসী হয়ে থাকো।"  - সূরা আন্‌ নিসাঃ ৫৯

তাই আমাদের উচিত মতৈক্যে মতবিরোধ উভয় ক্ষেত্রে পবিত্র কোরআন সহীহ হাদিসের ফায়সালা সম্পূর্ণভাবে মেনে নেয়া।   এখন দেখা যাক, পবিত্র কোরআন সহীহ হাদিস রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহ তথা সহীহ হাদিস অনুসরণ করার ব্যাপারে কি বলে ?

সুন্নাহ তথা হাদিস অনুসরণ করার ব্যাপারে পবিত্র কোরআন

১। "যে কেউ রাসুলের অনুসরণ করলো, সে আল্লাহকেই অনুসরণ করলো। কিন্তু কেউ যদি মুখ ফিরিয়ে  নেয় তবে আমরা আপনাকে তাদের উপর প্রহরী বানিয়ে পাঠাইনি।"        
  - সূরা আন্‌ নিসাঃ ৮০

অর্থাৎ যারা রাসুল (সাঃ) সুন্নাহ হাদীস মানবেনা তাদের ব্যাপারে দুঃসংবাদ।

২।  "হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং আনুগত্য করো রাসুলের এবং তোমাদের দায়িত্বশীলদের। আর কোন ব্যাপারে মতবিরোধ হলে তা আল্লাহ রাসুলের দিকে ফিরিয়ে দা। যদি তোমরা আল্লাহ বিচার দিবসে বিশ্বাসী হয়ে থাকো।" 
- সূরা আন্‌ নিসাঃ ৫৯

অর্থাৎ উলিল্‌ আমরের আনুগত্য কোরআন-সুন্নাহর শর্তযুক্ত।  

৩।  "তোমরা আল্লাহর এবং রাসুলের আনুগত্য করো যাতে রহমত প্রাপ্ত হতে পারো।"
- সূরা আল ইমরানঃ ১৩২।

৪।  "হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো এবং তাঁর দিক হতে মুখ ফিরিয়ে নি  না।"  - সূরা আল আনফালঃ ২০।

অর্থাৎ রাসুলের উপস্থিতিতে তাঁর হতে এবং তাঁর অনুপস্তিতিতে তাঁর সুন্নাহ তথা হাদিস হতে মুখ ফিরিয়ে নি না।

৫।  "বলুন, আল্লাহর আনুগত্য করো এবং আনুগত্য করো রাসুলের। আর তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে না, তাঁর দায়িত্ব শুধু তাঁর উপর অর্পিত কাজের জন্য ........" 
- সূরা আন্‌ নুরঃ ৫৪

তাই যারা কো'আন সুন্নাহ তথা হাদিস হতে মুখ  ফিরিয়ে নেয়, রাসুল (সাঃ) তাদের হ'তে দায়িত্বমুক্ত।

৬।  "তাই সালাত কায়েম করো, যাকাত আদায় করো এবং রাসুলের আনুগত্য করো যাতে তোমরা রহমত প্রাপ্ত তে পারো।"  - সূরা আন্‌ নুরঃ ৫৬

No comments:

Post a Comment