মুক্তিপ্রাপ্ত দলের পাথেয়
মুহাম্মদ বিন জামীল যাইনূ
http://www.islamhouse.com/p/236808 নাজাতপ্রাপ্ত দলের রাস্তা (পথ নির্দেশিকা)
১। নাজাতপ্রাপ্ত দল বলে সে দলকে বুঝানো হয়েছে, যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবিত থাকা কালে তাঁর রাস্তাকে আঁকড়ে ধরেছেন দৃঢ়ভাবে। তাঁর ওফাতের পর অনুসরণ করেছেন তাঁর সাহাবিদের রাস্তা। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি অবতীর্ণ আল-কোরআন প্রদর্শিত এবং তাঁর কর্ম-বক্তব্য-সমর্থনের মাধ্যমে কোরআনের ব্যাখ্যায় যে রাস্তা উদ্ভাসিত হয়েছে। কাল পরিক্রমায় সহিহ হাদিসের মাধ্যমে যা আমাদের পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং তিনি নিজ উম্মতকে মজবুতভাতে ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন সেটিই হলো নাজাতপ্রাপ্ত দলের রাস্তা।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
تَرَكْتُ فِيْكُم شَيْئَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا بَعْدَهُمَا: كِتَابَ اللهِ وَسُنَّتِي (صححه الالباني في الجامع)
অর্থাৎ, তোমাদের মধ্যে আমি দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যদি তোমরা সেগুলোকে আঁকড়ে ধর তাহলে কখনও পথভ্রষ্ট হবে না। তা হলো আল্লাহর কিতাব ও আমার সুন্নাহ। (ছহীহ, জামে সগীর)।
২। সে দলের অনন্য বৈশিষ্ট্য হল, তারা নিজেদের মাঝে কোনো বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে আল্লাহর নির্দেশ পালনার্থে সাথে সাথে আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের হাদিসের দিকে প্রত্যার্পণ করে।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا ﴿النساء59﴾
অতঃপর কোনো বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করাও- যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর। (সূরা নিসা, ৪ : ৫৯ আয়াত)।
আল্লাহ আরো বলেন :
فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ﴿النساء65﴾
অর্থাৎ, অতএব তোমার রবের কসম, তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক নির্ধারণ করে, তারপর তুমি যে ফয়সালা দেবে সে ব্যাপারে নিজদের অন্তরে কোনো দ্বিধা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়। (সূরা নিসা ৪ : ৬৫ আয়াত)।
৩। এ দল আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথার উপর কারও কথার প্রাধান্য দেয় না।
কারণ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন :
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ﴿الحجرات1﴾
অর্থাৎ, হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সামনে অগ্রবর্তী হয়ো না এবং আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
(সূরা হুজুরাত, ৪৯: ১ আয়াত)
ইবনে আব্বাস রা. বলেছেন : আমার আশঙ্কা হচ্ছে, না জানি তোমাদের উপর আকাশ থেকে আযাবের পাথর বর্ষিত হয়। আমি তোমাদের বলি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে বলেছেন, আর তোমরা বল আবু বকর রা. ও উমর রা. এভাবে বলেছেন।
৪। নাজাতপ্রাপ্ত দলের আরো একটি পরিচয় হলো, সর্বক্ষেত্রে তারা তাওহিদকে অগ্রাধিকার দেয়। তাদের সব কথা ও কাজে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের একত্ববাদের বিকাশ ঘটে, কেবল তাঁরই ইবাদত করে, তাঁর নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করে, বিপদে তাঁকেই ডাকে, তাঁর নামেই যবেহ করে, নযর দেয়-মানত করে এবং তাঁর উপরই তাওয়াক্কুল করে। ইবাদত-বন্দেগি, বিচার-আচার, লেন-দেন এক কথায় জীবনের যাবতীয় কাজ-কর্ম আল্লাহ প্রবর্তিত শরিয়তের অনুবর্তিতায়ই সম্পাদন করে। এ গুলোর উপর ভিত্তি করেই মূলত: সত্যিকারের ইসলামী রাষ্ট্র গঠিত হয়। তবে তাওহিদকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে শিরকের বিষয়টিকে অবহেলা করলে চলবে না। অবশ্যই শিরককে বিতাড়িত করতে হবে জীবনের সকল ক্ষেত্র থেকে। বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশ প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য ও ছোট-বড় শিরকের সমস্যায় জর্জরিত। আল্লাহর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত করণ কর্মসূচিকে স্বার্থক করতে হলে অবশ্যই সেসব শিরক নির্মূল করতে হবে। কারণ, তাওহিদের দাবিই হচ্ছে যাবতীয় শিরক দূর করা। শিরকের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে না তুলে এবং তাওহিদকে পশ্চাতে রেখে কোনো দলই আল্লাহর সাহায্য পেতে পারে না। পৃথিবীতে আগমনকারী সকল রাসূলই এসব কথার উত্তম নিদর্শন। আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও এর ব্যতিক্রম নন। তিনি নিজ জীবনে এ সত্য প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন স্বার্থকভাবে এবং পরবর্তিদের দেখিয়ে গিয়েছেন সে রাস্তা।
৫। এ দল ইবাদত, চরিত্র গঠন ও যাবতীয় কর্মে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে তাঁর সুন্নতকে জীবিত করে। ফলে, নিজেদের সমাজে তারা (স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের নান্দনিকতায়) অপরিচিত-অচেনা মত হয়ে যায়। এদের সম্বন্ধে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
إنَّ الاِسْلامَ بَدَأ غَرِيْبًا وسيعود غريبا كَمَا بَدَأ، فَطُوْبى لِلغُرَبَاءِ (رواه مسلم)
অর্থাৎ, ইসলাম শুরু হয়েছিল অপরিচিতর মত এবং আবার ফিরে আসবে অপরিচিতর মত যেমন শুরুতে ছিল। সেই অপরিচিতদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ। (মুসলিম)।
ইমাম মুসলিম আরও বলেছেন :
فَطُوْبى لِلغُرَبَاءِ : اَلذِيْنَ يَصْلِحُونَ إذا فَسَدَ النَّاسُ. (رواه أبو عمرو والدانى بسند صحيح)
অর্থৎ, ঐ সমস্ত অপরিচিতদের জন্য সুসংবাদ যারা মানুষের সংশোধনে আত্মনিয়োগ করে যখন তারা নষ্ট হয়ে যায়। (ছহীহ, আবু আমর)।
৬। এ দল আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথার বাইরে অন্য কারও অন্ধ অনুসরণ করে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন নির্দোষ (গোনাহ থেকে পবিত্র), মনগড়া কোনো কথা বলেননি। তিনি ছাড়া অন্যান্য মানুষ যতই বড় হোন না কেন ভুল করতে পারেন। কেউই ভুল-ত্রুটির উর্দ্ধে নন।
এ প্রসঙ্গে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
كُلُّ بَنِى آدمَ خَطَّاءٌ وَ خَيرُ الْخَطًّائِيْنَ التَّوَّابُوْنَ (حسن رواه أحمد)
অর্থাৎ, আদম সন্তান প্রত্যেকেই ভুলকারী। ভুলকারীদের উত্তম ঐ ব্যক্তি যারা তওবা করে। (এবং ভ্রান্ত পথ হতে ফেরত আসে।) (আহমাদ, হাসান) ।
ইমাম মালেক র. বলেছেন, রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতীত এমন কোনো ব্যক্তি নেই যার সমস্ত কথা গ্রহণ করা যায়, অথবা পরিত্যাগ করা যায়।
৭। নাজাত প্রাপ্ত দল হল তারা যারা হাদিস ও কুরআন অনুযায়ী চলে। যাদের সম্বন্ধে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
لا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أمَّتِى ظَاهِرِيْنَ عَلى الْحَقِّ لا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ حَتّى يَأتِيَ أمْرُ الله (رواه مسلم)
অর্থাৎ, আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা হকের উপর প্রতিষ্ঠিত ও বিজয়ী থাকবে। আল্লাহর নির্দেশ (কিয়ামত) আসা অবধি যারা তাদের পিছপা-অপমান করবে কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (মুসলিম)
৮। এ দল চার মুজতাহিদ ইমামকে যথাযথ সম্মান করে। নির্দিষ্ট কারো অন্ধ অনুসরণ করে না। সকলের থেকেই কুরআন ও ফিকাহ’র মাসআলা গ্রহণ করে। প্রত্যেকের কথাই গ্রহণ করে যদি সে কথা সহিহ হাদিসের সাথে মিলে যায়। তাদের অনুসরণের প্রকৃত রূপ এটিই। কারণ তাঁরা প্রত্যেকেই নিজ অনুসারীদের সহিহ হাদিস অনুযায়ী আমল করার তাগিদ দিয়েছেন এবং হাদিসের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক যাবতীয় মতবাদকে ত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
৯। এ দল সৎ কাজের আদেশ দেয় এবং অন্যায় কাজে নিষেধ করে। বিদআতের সমস্ত রাস্তা ত্যাগ ও অস্বীকার করে। আরো অস্বীকার করে সে সব দলকে যারা ইসলাম ও উম্মতকে শতধা বিভক্ত করছে, দ্বীনের মধ্যে বিদআতের প্রবর্তন করছে এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবিদের রাস্তা হতে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে।
১০। এ দল সকল মুসলিমকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবাদের আদর্শ আঁকড়ে ধরার প্রতি আহ্বান জানায়। যাতে তাঁরা পৃথিবীতে জয়যুক্ত হতে পারেন। এবং পরকালে আল্লাহর করুণা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফায়াতে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারেন।
১১। এ দল ইসলাম ও শরীয়ত পরিপন্থী মানব রচিত আইন ও বিচারের বিরোধিতা করে। বরং এরা মানব জাতিকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কিতাব অনুযায়ী বিচার কায়েম করার প্রতি আহ্বান করে। আর এতেই রয়েছে তাদের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ। কারণ, এটি মহান আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান। তিনিই জানেন কিসে তাদের কল্যাণ আর কিসে অকল্যাণ। তাছাড়া এ কিতাব অপরিবর্তনীয়- সময়ের বিবর্তনের সাথে কখনোই এর পরিবর্তন হবে না। এটি সর্ব কালের সর্ব শ্রেণীর লোকদের জন্য প্রযোজ্য। বর্তমান বিশ্বমানবতা বিশেষ করে মুসলমানদের দুর্ভোগ ও পেরেশানির অন্যতম কারণ হচ্ছে তারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান বাদ দিয়ে মানব রচিত অসার সংবিধানে বিচার কার্য পরিচালনা করছে। জীবনাচারে কোরআন ও সুন্নাহর অনুবর্তন অনুপস্থিত। তাদের অপমান-অপদস্ত হবার এটিই মূল কারণ। এ অবস্থার পরিবর্তন কখনোই হবে না যদি না তারা পরিপূর্ণরূপে ইসলামের শিক্ষার দিকে ফিরে আসে। ব্যক্তিগতভাবে হোক বা সমষ্টিগতভাবে। সামাজিকভাবে হোক কিংবা রাষ্ট্রীয়ভাবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :
إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُوا مَا بِأَنْفُسِهِمْ (الرعد 11)
নিশ্চয় আল্লাহ কোনো কওমের অবস্থা ততক্ষণ পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। (সূরা রাদ, ১৩: আয়াত ১১)।
১২। এ দল সকল মুসলিমকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের প্রতি আহ্বান করে। জিহাদ সার্মথ্য অনুযায়ী প্রতিটি মুসলিমের উপর ফরজ। তবে সে জিহাদ হতে হবে নীচের নিয়ম অনুযায়ী,
প্রথমত: জিহবা ও লেখনীর মাধ্যমে। মুসলিম ও অমুসলিম নির্বিশেষে সকল মানুষকে সত্যিকারের ইসলাম আঁকড়ে ধরার দাওয়াত দিতে হবে। আরো দাওয়াত দিতে হবে শিরকমুক্ত তাওহিদ লালন করার প্রতি। আর এ দিকটির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে, কারণ শিরক আজ বেশীর ভাগ মুসলিম দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মহামারির মত। এ সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেনঃ
لا تَقُوْمُ السَّاعَةُ حَتّى تَلْحَقَ قَبَائِلٌ مِنْ أمَّتِى بِالْمٌشْرِكِيْنَ وَ حَتَّى تَعْبُدَ قَبَائِلٌ مِنْ أمَّتِي الْاوْثَانَ (صحيح رواه أبو داود ومعناه في مسلم)
অর্থাৎ, কিয়ামত সংগঠিত হবে না যতক্ষণ না আমার উম্মতের কিছু কবিলা মুশরিকদের সাথে মিলে যায় এবং যতক্ষণ না আমার উম্মতের কিছু কবিলা (পাথরের) মূর্তি পূজা করে। (আবু দাউদ, সহিহ)।
দ্বিতীয়ত: সম্পদের মাধ্যমে। যেমন ইসলাম প্রচার ও দাওয়াত কাজে সম্পদ ব্যয় করা। এ সংক্রান্ত বই-পত্র ছাপিয়ে বিতরণ করা। দুর্বল ঈমানদারদের ঈমানকে মজবুত করে তুলতে বহুমুখী কর্মসূচী গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন কল্পে ব্যয় করা।
তৃতীয়ত: জীবন দিয়ে জিহাদ করা। যেমন, ইসলামকে জয়যুক্ত করার জন্য যুদ্ধ করা। যাতে আল্লাহর কালেমা ঊঁচু হয় এবং কাফিরদের কথা নীচু হয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন :
جَاهِدُوْا الْمُشْرِكِيْنَ بِأًمْوالِكُمْ وَ اَنْفُسِكُمْ وَالْسِنَتِكُمْ (صحيح رواه أبو داود)
অর্থাৎ, তোমরা নিজ সম্পদ, জীবন ও জিহ্বার মাধ্যমে মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর। (আবু দাউদ, সহিহ)।
No comments:
Post a Comment